রোহিঙ্গা বালক সোহেল নতুন জীবন শুরু করার জন্য ভাসানচরে যাচ্ছে, তাই সঙ্গে নিয়েছে পোষা কুকুর ‘মতি’কে। কিন্তু জাহাজে ওঠার আগে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সে কুকুরটিকে সাথে নিতে পারবে না
কুকুর যে মানুষের সেরা বন্ধু তা আজ আবারও প্রমাণ করে দিল দশ বছরের রোহিঙ্গা বালক মো. সোহেল।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরিত হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে একজন হল সোহেল।
সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, কুকুরটিকে তার সাথে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাহাজে ওঠার সময় ছেলেটির কোলে পোষা কুকুরটিকে দেখা যায়।
কুতুপালং শিবিরে থাকাকালীন সোহেল দীর্ঘদিন ধরে কুকুরটির যত্ন নিয়ে আসছে।
সোহেল কুকুরটির নাম দিয়েছে "মতি"।
ভাসানচরে তার জীবনের নতুন একটি অধ্যায় শুরু করার এই সময়টায় সোহেল তার বন্ধুটিকে ফেলে যেতে পারেনি।
সোহেল জানায়, সে নিজে না খেলেও মতিকে খাওয়ায়। তাই ভাসানচরেও ওকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে।
ভাসানচরের জাহাজে ওঠার আগে কর্মকর্তারা সোহেল ও তার পরিবারকে বলেন, তারা কুকুরটিকে সাথে নিতে পারবে না।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, সোহেলের বাবা সেই কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেন। এবং শেষ পর্যন্ত তাদের কুকুরটিকে সাথে নেওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।
মঙ্গলবার স্থানান্তর প্রক্রিয়ার চতুর্থ দফার দ্বিতীয় দিনে আরও প্রায় ১,০০৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছেছে।
সোমবার, স্থানান্তর প্রক্রিয়ার চতুর্থ দফায় আরও ২,০১০ জন রোহিঙ্গা দ্বীপটিতে পৌঁছায়।
তৃতীয় ধাপে, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি, এই দুইদিনে ৩,২০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
এর আগে, ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর প্রথম দুটি ধাপে প্রায় ৩,৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে দ্বীপে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানান্তরের সাফল্য বজায় রাখতে সরকার প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে আরও উন্নত বাসস্থান প্রদানের জন্য পর্যায়ক্রমে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বন্যা প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ করে সরকার দ্বীপটির সুরক্ষা বিষয়ক উদ্বেগকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এখন কক্সবাজার জেলায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাদের সেবা প্রদান করছে বাংলাদেশ।
মতামত দিন