গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ফ্রি ফায়ার’ খেলা নিয়ে যুবকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়
নরসিংদীর বেলাবতে “ফ্রি ফায়ার” খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আবু তাহের মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের পাহাড় উজিলাব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নিহত আবু তাহের মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে জুনায়েদ এবং গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোরাদ মিয়ার সাথে ফ্রি ফাইয়ার খেলার আইডি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে সোমবার ওই গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে বকুল মিয়া, মানিক মিয়ার ছেলে জুনায়েদ, মানিক মিয়ার ছেলে রুবেল, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মুরাদ, মোবারক আমজাদ ও গিয়াস উদ্দিনসহ আবুল মিয়ার বাড়িতে এসে দেশীয় অস্ত্র লাঠি, দা, দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বৃদ্ধ আবু তাহের লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহতবস্থায় আবু তাহেরকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন - 'ফ্রি ফায়ার' খেলতে গিয়ে বাবার ৪১ হাজার টাকা খোয়ালো শিশু
নিহতের ছেলে স্বপন মিয়া জানায়, ফ্রি ফায়ার খেলার আইডি নিয়ে জুনায়েদ মোবারক, আমজাদ, রুবেল, মুরাদসহ আমাদের বাড়িতে হামলা করে ও আমার বাবাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে।
বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, “খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়। পরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। আমাদের কাছে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গেরিনা ফ্রি ফায়ার (ফ্রি ফায়ার ব্যাটলগ্রাউন্ডস বা ফ্রি ফায়ার নামেও পরিচিত) একটি ব্যাটল রয়্যাল যা অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইলে খেলা যায়। ২০১৯ সালে এটি বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ডাউনলোড করা মোবাইল গেম হয়ে ওঠে। নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত, ফ্রি ফায়ার বিশ্বজুড়ে বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন ডলার আয় করে।
মতামত দিন