পুলিশ সদস্য ওমর ফারুককে আটকে রেখে বেধড়ক মারপিট করে ভারতীয় নাগরিকেরা। এ সময় পুলিশের অপর দুই সদস্য তাকে রেখেই পালিয়ে আসে
পঞ্চগড় সদর উপজেলার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ওমর ফারুক নামে পঞ্চগড় পুলিশে কর্মরত এক সদস্যকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার হাড়িভাসা মোমিনপাড়া ঘাগড়া সীমান্ত ওমর ফারুককে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
ওই পুলিশ সদস্যকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুলিশ ও বিজিবি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করলেও তারা এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশের ওই ৩ সদস্য ভারতের অভ্যন্তরে গিয়ে ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী বলেন, রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় ওমর ফারুক ও মোশারফ হোসেনসহ পঞ্চগড় পুলিশের ৩ সদস্য ওই সীমান্তের কাছাকাছি যান। এ সময় কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের সাথে তাদের তর্ক হলে তারা ওমর ফারুককে আটক করে রাখে। তখন তাকে রেখেই পালিয়ে আসে পুলিশের অপর দুই সদস্য। ভারতীয়রা ওমর ফারুককে বেধড়ক মারধর করে ও বিএসএফকে খবর দেয়। পরে পাশ্ববর্তী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ওমর ফারককে আটক করে নিয়ে যায়।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহমদ বলেন, শুনেছি বিএসএফ কর্তৃক আটক পুলিশ সদস্য আদালতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ওই সীমান্ত এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন বলে আমরা শুনেছি। তবে কারা ছিলেন এবং কেন সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন এ বিষয়ে আমরা এখনো কিছুই জানি না।
বিজিবি ঘাগড়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. রুহুল আমিন বলেন, এ ব্যাপারে স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি। আমরা বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা একজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছে।
৫৬ নীলফামারী বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এ বিষয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানোর প্রক্রিয়া চলছে।”
মতামত দিন