রিভিউ কমিটির প্রস্তাবের পর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এই টোল নির্ধারণ করে
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিহার টোল কিলোমিটার প্রতি ৯.৯০ টাকা প্রস্তাব করেছে।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক সভায় রিভিউ কমিটির প্রস্তাবের পরে বিভাগটি টোল নির্ধারণ করে। ক্লিয়ারেন্সের জন্য শীঘ্রই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগে প্রস্তাবটি পাঠানো হবে।
নতুন মহাসড়কের টোল রেট প্রস্তাব করার জন্য জানুয়ারিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি প্রাথমিকভাবে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে যশোরের পাচ্চর রুটে ভিত্তিহার কিলোমিটার প্রতি ২০.১৮ টাকা প্রস্তাব করে। কিন্তু বেশ কয়েকটি অংশীদারদের আপত্তি থাকায় প্রস্তাবটি সংশোধন করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব (টোল ও অ্যাক্সেল) ফাহমিদা হক খান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, "সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি বিশ্লেষণ করে টোলের হার চূড়ান্ত করবে। এটি শীঘ্রই পাঠানো হবে।"
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, চার চাকার মিনি ট্রাক ভিত্তিহারে টোল পরিশোধ করবে। ট্রেইলার এবং ট্রাকগুলো ভিত্তিহারের চেয়ে বেশি টোল পরিশোধ করবে। অন্যদিকে বাস, মিনি বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার এবং মোটরসাইকেলগুলো ভিত্তিহারের চেয়ে কম টোল পরিশোধ করবে।
কমিটিটি ঢাকা, মাওয়া ও পাচ্চর অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত তিনটি টোল ব্রিজের হার সমন্বয় ও পর্যালোচনা করে এই হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিভাগটি ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা, আড়িয়াল খান সেতু এবং ধলেশ্বরী ১ ও ২ সেতু থেকে টোল সংগ্রহ করে। ২০১৪ সালে তৈরি টোল নীতি অনুসারে এই টোলগুলো সংগ্রহ করা হয়।
পদ্মা নদীর ওপর দেশের দীর্ঘতম সেতুর টোল রেটের আলোচনা এখনও শেষ হয়নি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, "পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে টোল ফি ধার্য করা ঠিক হবে না।"
তিনি আরও বলেন, "পরিবহন অপারেটর এবং যাত্রীরা সেতুটি চালু না হওয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।"
মতামত দিন