রবিবার (৩১ জানুয়ারি) ‘জীবন জীবিকা বাঁচাও’ নামক সংগঠনটি সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক হয়রানি বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে শ্রমিকদের একটি সংগঠন আজ সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মত বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে সকল ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ অব্যাহত রেখেছে।
“জীবন জীবিকা বাঁচাও” নামক সংগঠনটি সীমান্তে ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক হয়রানি বন্ধ করাসহ বাণিজ্য বিষয়ক তাদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের প্রত্যাশা করছে বলে, ইউএনবি প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব খবর জানা গেছে।
তবে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে রবিবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শতশত পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে।
এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের লোকসানের কবলে পড়েছেন। আটকে পড়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাটজাতদ্রব্য, মাছ, শিল্প কারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, মেশিনারিজ সহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য।
ভারতীয় সিআ্যণ্ডএফ স্টাফ সদস্য ও ট্রাক শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বেনাপোল বন্দরে দীর্ঘদিন আসা-যাওয়া করছে। সম্প্রতি সীমান্তরক্ষী বিএসএফ নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাদের আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বিএসএফ ট্রাক তল্লাশি করায় দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে বিএসএফ কে বারবার জানানো সত্ত্বেও সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের সংগঠনটি লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়।
বেনাপোলে স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, “ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ ছিল, যার জন্য প্রত্যেকে লোকসানের মুখোমুখি হন।তবে বেনাপোল বন্দরে পণ্য উত্তোলনের কাজ চলছে”।
তিনি আরও বলেন, “আমরা চলমান সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বাণিজ্য কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি।”
মতামত দিন