বিদ্যমান আইন অনুসারে এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়ন ফল পরীক্ষা না নিয়ে প্রকাশের বিধান নেই
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) তিনটি সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
বিল ৩টি হলো – “মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা (সংশোধন) বিল, ২০২১”, “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল, ২০২১” এবং “বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল, ২০২১”।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিল তিনটি সংসদে উত্থাপন করেন এবং সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
কমিটিকে একদিনের মধ্যে “মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা (সংশোধন) বিল, ২০২১” সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যদিকে “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল, ২০২১” এবং “বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল, ২০২১”এর প্রতিবেদন দুই দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশের জন্য “মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধ্যাদেশ ১৯৬১”, “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮” এবং “বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০” সংশোধন করে তিনটি অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বিদ্যমান আইন অনুসারে এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়ন ফল পরীক্ষা না নিয়ে প্রকাশের বিধান নেই। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব না হওয়ায় সংশোধনী বিলগুলো রাখা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সম্প্রতি জানিয়েছেন, ৭৫ শতাংশ এসএসসি এবং ২৫ শতাংশ জেএসসি-জেডিসির ফলাফল থেকে সমন্বয়ের পরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
কোভিড -১৯ পরিস্থিতির কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের লক্ষ্যে তিনটি আইন সংশোধনের খসড়ায় গত ১১ জানুয়ারি অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
মতামত দিন