ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘এই ৪টি জায়গা সকলের মতামতের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট করতে পারলে, আগামী বছর থেকে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে’
রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদকে সিটি টার্মিনাল হিসেবে রেখে ঢাকার চার উপকণ্ঠে চারটি আন্তঃজেলা টার্মিনাল করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সাভারের ভাটুলিয়া ও বিরুলিয়া এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র।
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং যানজট নিরসনে গঠিত বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির কার্যক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তারা এই পরিদর্শনে নেমেছেন।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “ঢাকার পুরো গণপরিবহন ব্যবস্থাকে একটা শৃঙখলার মধ্যে আনতে চাই। সেলক্ষ্যে কাজ আরম্ভ করেছি।”
তাপস বলেন, “প্রথমে ভাটুলিয়া-বিরুলিয়া এলাকা পরিদর্শন করেছি। সরেজমিনে দেখতে চাই এটা কতটা কার্যকর হবে। এরপর হেমায়েতপুরে আরেকটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে যাব। কাঁচপুর এবং কেরানীগঞ্জে দুটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো দেখে আগামী জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপর মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমাদের লক্ষ্য হল ঢাকা শহরের ভেতর থেকে চাপটা কমিয়ে আনা।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “শহরের বাস শহরের মধ্যে চলবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী পহেলা এপ্রিল ঘাটারচর থেকে মতিঝিলে বাস চালু করছি। আর বিভিন্ন জেলার বাস ঢাকার আশপাশে একটি জায়গায় এসে থেমে যাবে। তারা শহরের ভেতরে ঢুকতে পারবে না।”
এক প্রশ্নে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিকভাবে ১০টি জায়গা নির্ধারণ করেছেন। আমরা সেখান থেকে কমিয়ে চারটি ঠিক করেছি। বাকি জায়গাগুলো অনেক দূরে হয়ে যায়। বাস্তবিকভাবে প্রয়োগযোগ্য হবে না। এজন্য আমরা সেটিকে সংক্ষিপ্ত করে চারটি নির্ধারণ করেছি।”
তিনি বলেন, “এই চারটি জায়গা যদি সকলের মতামতের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট করতে পারি তাহলে আগামী বছর থেকে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ আরম্ভ করবো। যারা আন্তঃজেলা বাস ব্যবহার করবে তারা চাইলে মেট্রোরেল ব্যবহার করবে, নাহয় অন্য পরিবহন ব্যবহার করবে।”
মতামত দিন