সুন্দরবনে হরিণ বিচরণ ক্ষেত্রের ৩০ কি.মির মধ্যে নিষিদ্ধ হলেও আইন ও বিধিমালার তোয়াক্কা না করেই খামার চালাচ্ছেন সাতক্ষীরার জাপা নেতা আবদুস সাত্তার মোড়ল
সুন্দরবনের হরিণ বিচরণ ক্ষেত্রের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে হরিণ পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করেই হরিণের খামার পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার জাতীয় পার্টির নেতা আবদুস সাত্তার মোড়লের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে সুন্দরবনের তীরবর্তী শাওন ফিস বন্দকাটি বাশতলা ইউনিয়ন সংলগ্ন এলাকায় খামারটি তৈরি করেন সাত্তার মোড়ল। ২০০৯ সালের বিধানমতে খামারটির লাইসেন্স পান তিনি। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে হরিণ বিচরণ ক্ষেত্রে হরিণ পালন বা খামারের ওপর নতুন বিধিমালা কার্যকর হয়। ওই বিধিমালা অনুযায়ী, হরিণের খামার সুন্দরবন থেকে ন্যূনতম ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে হওয়ার কথা। তবে খামারটি হরিণ বিচরণ ক্ষেত্রের ২০ কিলোমিটারের ভেতরে হওয়ার পরও তা নবায়ন করেননি তিনি।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, বন্দকাঠিতে আব্দুস সাত্তার মোড়লের হরিণের খামারটি সুন্দরবন থেকে ২০ কিলোমিটার মধ্যে অবস্থান করছে। ২০১৭ বিধিমালা অনুযায়ী ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে হরিণের কোনও খামার থাকা যাবে না। কেননা, ২০১৭ সালে নতুন বিধিমালা অনুমোদনের পর ২০০৯ সালের বিধিমালাটি স্থগিত হয়েছে।
একসময়ে এশিয়ার বৃহত্তম চিংড়ি ঘের মালিক সাতক্ষীরার শাওন ফিস লি. এমডি সাত্তার মোড়ল এ প্রসঙ্গে বলেন, “হরিণ দ্রুত বংশ বিস্তার করে।তার উপর রোগ-বালাই নেই। মাত্র ৪টি হরিণ থেকে কয়েক বছরে হরিণের সংখ্যা শত ছাড়িয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার ক্ষমতাধরদের বাড়ির ফ্রিজে তার খামারের হরিণের মাংস থাকে। তিনি আইন ও বিধিমালা নিয়ে ভাবছেন না।”
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল বলেন, “ঢাকা থেকে ২০১৭ বিধিমালার আলোকে আবদুস সাত্তার মোড়লের হরিণ খামার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে পাঠায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ। খুলনা থেকে বিষয়টি তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঢাকা থেকেই নেওয়া হবে।”
মতামত দিন