১৬ ডিসেম্বর ভোরে বিএসএফের গুলিতে ওই বাংলাদেশি নিহত হন
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি জাহিদুল ইসলামের (২২) লাশের ময়না তদন্ত শেষে ৭২ ঘণ্টা পর পাটগ্রাম থানা পুলিশের নিকট ফেরত দিয়েছে ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ।
শুক্রবার(১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর সীমান্তের ৮৫৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের উভয় দিকের কোম্পানি কমান্ডারসহ সদস্যদের উপস্থিতিতে ভারতীয় কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় রায় পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্তের কাছে নিহত জাহিদুল ইসলামের লাশ ফেরত দেন।
নিহত জাহিদুল ইসলাম পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামুপর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে।
গত ১৬ ডিসেম্বর (বুধবার) ভোরে ওই উপজেলার শ্রীরামপুর সীমান্তের ৮৫২ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। এরপর বিএসএফ ও মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের লাশ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ দফায় দফায় পতাকা বৈঠক করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে ওই সীমান্তের ৮৫২ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী একটি দল গরু আনতে গেলে ভারতীয় কোচবিহার-১৪০ বিএসএফ ব্যালালিয়নের রতনপুর বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহল দলের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া এ সময় গুলিতে ভারতীয় ও বাংলাদেশি আরও একজন করে দুইজন গরু পারাপারকারী সদস্য আহত হন।
রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আজহারুল ইসলাম ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত জাহিদুল ইসলামের লাশ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়েছে।”
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, “ভারতে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার দুপুরে ভারতীয় বিএসএফ ও বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতিতে জাহিদুল ইসলামের লাশ মেখলিগঞ্জ থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় রায়ের নিকট থেকে আমি বুঝে নিয়ে তার বাবা দুলাল হোসেনের নিকট হস্তান্তর করেছি। বিএসএফের গুলিতেই জাহিদুলের মৃত্যুর বিষয়টি ভারতীয় পোস্টমর্টেম রিপোর্টে উঠে এসেছে।”
মতামত দিন