ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা বিজয় দিবস উপলক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল
জামালপুরের সরিষাবাড়িতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার তারাকান্দি গেইটপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সরিষাবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ১২ জনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে ৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, তারাকান্দি গেইটপাড় এলাকায় সরিষাবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মহান বিজয় দিবসে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় যুবলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন মুকুলের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে মুকুল ও তার লোকজন কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সাইফুল (৩৮) আজমত আলী, আনোয়ার (৫০) সাইফুল (৩৩), লাল চান (২৪) লিটন (৩৫) জাহিদুর (২১), উজ্জল (৩৩), আজমত(২২) বেলাল (৪০), মিন্টু (৩৩), মানিককে (২১) সরিষাবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ আল-মামুন, গুরুতর আহত ঠান্ডু, স্বপন ও আবুলসহ ১২ জনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন মুকুল দাবি করেন, তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদের শুরু হয়ে একটি মিছিল নিয়ে তারাকান্দি যমুনা সারকারখানার কলোনি গেটে আসে। সেখানে নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান সফল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালালে দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এখানে গুলিবর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে।
এ প্রসঙ্গে সরিষবাড়ির তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও গুলিবর্ষণ ও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও ফাঁকাগুলি করেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যমুনা সার কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
মতামত দিন