কাকটি প্রায় ২৪ ঘণ্টা উল্টো হয়ে ঝুলেছিল
ঘুড়ির সুতোয় আটকে গিয়ে গাছে ঝুলছিল একটি কাক। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা খবর পেয়ে কাকটিকে উদ্ধার করেছেন। এতে কাকটি প্রাণে বেঁচেছে।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার সড়ক ডিভাইডারের একটি গাছ থেকে পাখিটিকে উদ্ধার করা হয়।
কাকটি উদ্ধারের জন্য প্রথমে জরুরি নম্বর ৯৯৯'এ ফোন দেন উজ্জ্বল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তারপর সেখান থেকে নাম্বার নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরে খবর দেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর এলাকার ওষুধের দোকানের কর্মী উজ্জ্বল জানান, মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তিনি কাকটিকে গাছের ডালে ঝুলতে দেখেন। এরপর আর খেয়াল করেননি। পরে বুধবার সকালে দোকানে এসে তিনি কাকটিকে আগের দিনের মতোই ঝুলতে দেখেন। এরপর খবর দেন ফায়ার সার্ভিসে।
উজ্জ্বল আরও বলেন, একটা পাখি সারাদিন-সারারাত গাছের ডালে ঝুলছিল। তার কষ্ট হচ্ছিল। এটা দেখেই তিনি ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি গাড়ি ও মই নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
এই উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের স্টেশন অফিসার লতিফুল বারী নিজেই যান। তিনি জানান, গাছের ডালে আটকে ছিল একটি ঘুড়ি। সেই ঘুড়ির সুতোয় আটকা পড়েছিল কাকটি। তাদের কর্মীরা মই নিয়ে গাছে উঠে সুতোটি কেটে দেন। তখন কাকটা ওড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অসুস্থ থাকার কারণে খুব বেশি উড়তে পারেনি। এভাবেই মাটিতে এসে নামে। তখন কাকটিকে উদ্ধার করে উজ্জ্বলের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। গাছটির পাশ দিয়ে হাই ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার যাওয়ায় উদ্ধার কাজ বিলম্ব হয়।
এদিকে কাকটিকে নিজের হেফাজতে নিয়ে উজ্জ্বল জানান, তার দেখার পর থেকে কাকটি প্রায় ২৪ ঘণ্টা উল্টো হয়ে ঝুলেছিল। তাই এই মুহূর্তে উড়তে পারছে না। কাকটিকে তিনি একটি গাছের ডালের ওপরে বসিয়ে কেক ও পানি দিয়েছেন। সেটি খেয়েছে। তিনি নজর রাখছেন। উড়তে পারলেই তিনি কাকটিকে ছেড়ে দেবেন।
মতামত দিন