সরকারি এ হেল্পলাইনের মাধ্যমে কেবল অক্টোবরেই ঠেকানো হয়েছে ৪২৬ টি বাল্যবিবাহ
জানুয়ারি থেকে শুরু করে অক্টোবর পর্যন্ত ৩,৬৮৫টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে জাতীয় জরুরি সেবার হেল্পলাইন নম্বর- ৯৯৯ এর মাধ্যমে। এরমধ্যে কেবল অক্টোবরেই ঠেকানো হয়েছে ৪২৬ টি বাল্যবিবাহ।
জরুরি সেবা সংস্থাটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্টি জরুরি অবস্থায় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বাল্যবিয়ে আয়োজনের মাত্রা বেড়ে গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত তিন বছরে হেল্পলাইনের মাধ্যমে ৭,৩০৪ টি বাল্যবিয়ে ঠেকানো হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৯ সালের চেয়ে হেল্পলাইনের মাধ্যমে ২০২০ সালে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের হার ৪৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ১৪৭% বাল্যবিয়ে ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্যমতে, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের জন্য যত কল পেয়েছে সবগুলোই ঠেকাতে পেরেছে তারা। কোনও বাল্যবিয়ের খবর পেলেই ওই এলাকার পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ প্রসঙ্গে জরুরি সেবার অতিরিক্ত সহকারী পরিদর্শক মোহাম্মদ তোবারক উল্লাহ ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, গত এপ্রিলে লকডাউন শুরুর পর থেকে বাল্যবিবাহের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে ২,৩১৭টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে পেরেছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে যার বিয়ে সেই কল করে বিয়ে বন্ধের জন্য সাহায্য চেয়েছে। বেশিরভাগ সময় মেয়েটির পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বিয়ে বন্ধের জন্য সাহায্য চেয়েছে।”
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী জানান, ভুক্তভোগীর ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হলে কল দিয়ে জানায়, অন্যথায় কেউ জানাতে চায় না। মহামারির ভেতর ফোন কলের মাধ্যমে অনেকগুলো বাল্যবিয়ে ঠেকাতে প্রচারণা চালিয়েছেন তারা।
মতামত দিন