'ভাসান চর চমৎকার জায়গা, আমার সেখানে একটি রিসোর্ট করার ইচ্ছে রয়েছে'
আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলোর চাপের কারণে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রবিবার (১৫ নভেম্বর) বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর ও রাজশাহী কলেজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদের অধিকাংশই সেখানে যেতে রাজি হয়েছে। স্থানান্তরের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত না হলেও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ ও এনজিওগুলোর চাপের কারণে প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হচ্ছে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে রোহিঙ্গারা প্রায় ৬ হাজার ৮শ’ একর এলাকাজুড়ে বাস করছে। কিন্তু এলাকাটি মানুষ অনুপাতে অত্যন্ত ঘিঞ্জি হয়ে গেছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টিপাত হলে স্থানটিতে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিধস হলে সেখানে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে আর এই ঘটনার জন্য অনেকেই বাংলাদেশকে দোষারোপ করবে।”
“এছাড়াও অনেক রোহিঙ্গা তাদের বর্তমান আশ্রয়স্থলে মাদক পাচার ও মানব পাচারের মতো নানা ধরনে অপরাধ ও অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে। এসবের তুলনায় ভাসান চর চমৎকার জায়গা। আমার সেখানে একটি রিসোর্ট করার ইচ্ছে রয়েছে,” যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গারা সেখানে গেলে কৃষিকাজ ও গবাদিপশু পালনসহ নানা ধরনের অর্থনৈতিক কাজ করতে পারবে। তাদের সেখানে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।”
এর আগে, ড. মোমেন হাতেমখাঁ এলাকায় জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া মন্ত্রী বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের বিভিন্ন শাখা ও বিভাগ ও রাজশাহী কলেজ পরিদর্শন করেন।
মতামত দিন