প্রথমে স্ত্রী মিনাকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী হাফিজুল। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ৫০০ টাকার জন্য গলায় রশি পেঁচিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের উত্তর পাড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে।
নিহত মিনা বেগম ওই গ্রামে হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। ১৮ বছর আগে পার্শ্ববর্তী পুটিমারী ইউনিয়নের উত্তর ভেড়ভেড়ি গ্রামের এনামুল হকের মেয়ে মিনা বেগমের সাথে বিয়ে হয় হাফিজুলের।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, এ ঘটনায় রাতেই স্বামী হাফিজুল ইসলাম ও তার প্রতিবেশী চাচা নাজিম উদ্দিনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মিনার বাবা এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন, “হাফিজুল পেশায় একজন কাঠ ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার টাকা মেয়ে মিনার কাছে জমা রাখতো। আমার মেয়ে সরল বিশ্বাসে টাকা না গুণে জমা রেখে সেটি আবার ফেরৎ দিত। গত রবিবার জমানো টাকা ফেরৎ চাইলে একইভাবে বের করে দেয়। কিন্তু ৫০০ টাকা কম হওয়ার অজুহাতে বেধড়ক মারপিটের পর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে স্বামী হাফিজুল ইসলাম। সেই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য তার চাচা নাজিম উদ্দিনের পরামর্শে হাসপাতালে এনে মিনার লাশ ফেলে পালিয়ে যায় হাফিজুল। এ ঘটনায় তাদের নামে রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “মেয়ে এবং ও নাতনীদের সুখের জন্য তাদের বাড়ির সামনে সম্প্রতি একটি মুদি দোকান করে দেই। আশা করেছিলাম হাফিজুলের আয় এবং মুদি দোকানের আয় থেকে তারা সুখে দিন কাটাবে। কিন্তু আমার সে আশা আর পূরণ হল না।”
ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, “ঘটনার পর নিহত মিনার লাশ কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মিনার স্বামী হাফিজুল ইসলাম ও তার সর্ম্পকীয় চাচা নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীর কাছে জমানো টাকা থেকে ৫০০ টাকা কম হওয়ায় মারপিট এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন হাফিজুল।”
মতামত দিন