এখনও প্রধান অভিযুক্ত আলী হাসান আসকারি এখনও পলাতক রয়েছে
চুয়াডাঙ্গায় নবাব সলিমুল্লাহর নাতি পরিচয় দিয়ে চাকরি দেয়ার নামে ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আলী হাসান আসকারী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার (২ নভেম্বর) আলী হাসান আসকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার দ্বিতীয় আসামি ও আলী হাসান আসকারীর শ্যালক রায়হান উদ্দিন জনিকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি দেয়ার নাম করে তিন দফায় ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক আসকারী। এরপরও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা শুরু করে আলী হাসান। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে আলী হাসানের সহকারী রায়হানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী রফিকুলের অভিযোগ, নবাব সলিমুল্লাহর নাতি পরিচয় দিয়ে এবং নিজেকে প্রভাবশালী দাবি করে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেক মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আলী হাসান ও তার সহকারীরা। আলী হাসানের স্ত্রী মেরিনা আক্তারও স্বামীর সাথে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, “আসকারি ও তার স্ত্রী-শ্যালকসহ তিনজনের নামে প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার দুই নম্বর আসামি রায়হান উদ্দিন জনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
মতামত দিন