মোংলা বন্দরে বৃষ্টির কারণে পণ্য ওঠানামা বন্ধ থাকলেও অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) মাঝরাত থেকে টানা দুই দিনের বর্ষণে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। জেলা সদরসহ উপকূলীয় উপজেলাগুলোর রাস্তাঘাট, পুকুর, মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। তবে মোংলা বন্দরে বৃষ্টির কারণে পণ্য ওঠানামা বন্ধ থাকলেও অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, শরণখোলার বগি এলাকায় বেশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পানি অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের একটা অংশ ধসে যাওয়ার বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- নিম্নচাপের প্রভাবে ভারি বৃষ্টি, সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান বলেন, বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানান, দুই দিনের টানা বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, পুকুর তলিয়ে গেছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বরিশালে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন জানান, বৃষ্টির কারণে বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ আছে। তবে অন্যান্য সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে। এ ধরনের নিম্নচাপের ফলে সাধারণত ভারী বর্ষণ হয়ে থাকে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, দুই দিনের টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সভার পর পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মতামত দিন