প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, রায়হানের দুটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলা হয়
সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেও প্রথম প্রতিবেদনের সামঞ্জস্য পেয়েছে সিলেট ওসানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিকেল বোর্ড। ভোঁতা অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক মেডিকেল বোর্ড প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১টায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইয়ের কাছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নিহত রায়হানের শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন পান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা। যার মধ্যে ১৪টি গুরুতর আঘাত ছিল।
ওই ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, রায়হানের দুটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলা হয়। মৃত্যুর ২ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে এসব নির্যাতন চালানো হয়।
এর আগে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন গত ১৫ অক্টোবর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
গত ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় মঙ্গলবার পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই।
এছাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যায় অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পালাতে সহায়তা, আলামত নষ্ট ও তথ্য গোপনের অভিযোগে বন্দর বাজার ফাঁড়ির এসআই হাসান উদ্দিনকে বুধবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর এ ঘটনায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া প্রত্যাহার করা হয়েছে তিন পুলিশ সদস্যকে।
মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মতামত দিন