পরিবারের দাবি, পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুর পর পর রাজাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়
বাগেরহাটে পুলিশের (পিবিআই) হেফাজাতে রাজা ফকির (২২) নামের এক হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে রাজা ফকিরের লাশ পড়ে রয়েছে, এমন খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়।
পরিবারের দাবি, পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুর পর পর রাজাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নিহত রাজা বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী (রহ:) মাজারের খাদেম বাবু ফকিরের ছেলে। সে তালিম মল্লিক নামে এক কলেজ ছাত্র হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
আরও পড়ুন - ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার ৩ পুলিশ
নিহতের পিতা বাবু ফকিরের অভিযোগ, রবিবার দুপুরে তার ছেলেকে পটুয়াখালী থেকে ধরে নিয়ে আসে পিবিআই। সে তালিম মল্লিক নামে এক কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় পলাতক ছিল। এরপর তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে একাধিক বার পিবিআয়ের বাগেরহাট অফিসে যোগাযোগ করলেও ছেলের সাথে দেখা করতে পারেননি তারা। পরে সোমবার সন্ধায় হাসপাতালে ছেলের মৃতদেহ পড়ে আছে- লোকজনের কাছে এমন খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে ছুটে যান।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, “রাজা ফকিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
আরও পড়ুন - থানায় জব্দ মোটরসাইকেল চুরি করে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা এসআই
পিবিআইয়ের বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. জাহিদুর রহমান এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী মাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে তালিম মল্লিক (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়। নিহত মল্লিক বাগেরহাট সদর উপজেলার সিংড়াই গ্রামের ইয়াছিন মল্লিকের ছেলে এবং সরকারি পিসি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মী ছিল। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিল রাজা ফকির।
আরও পড়ুন - চুরি করা খাসিতে পুলিশের ভূড়ি ভোজ
মতামত দিন