কলেজছাত্র ইমরান বলেন, 'এই বিলের পদ্মফুলের ছবি ফেসবুকে দেখে এখানে এসেছি। এখন দেখছি ফেসবুকে যা দেখেছি তার চেয়েও এটা অনেক সুন্দর'
নড়াইলের ইছামতি বিলের চারিদিকে এখন শুধুই পদ্মফুল। জলের উপরে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে শত শত পদ্মফুল। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সূর্য ডোবার মনোরম দৃশ্য। চোখ জুড়ানো এই স্বর্গীয় দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ।
ইছামতি বিলটি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মিঠাপুর-লাহুড়িয়া সড়কের পাশে নলদী ইউনিয়নে অবস্থিত। জেলা শহর থেকে এর দূরত্ব ২০ কিলোমিটার।
মাগুরা থেকে আসা কলেজছাত্র ইমরান বলেন, “এই বিলের পদ্ম ফুলের ছবি ফেসবুকে দেখে এখানে এসেছি। এখন দেখছি ফেসবুকে যা দেখেছি তার চেয়েও এটা অনেক সুন্দর।”
নড়াইল শহরের গৃহিণী লায়লা সুমন জানান, “করোনার এই সময়ে পদ্মবিল আমাদের জন্য অন্যরকম শোভা বিছিয়ে রেখেছে। বিলের মধ্যে নৌকায় ঘুরে পদ্মফুলের সৌন্দর্য দেখা, এ এক অন্যরকম অনুভূতি। বার বার এখানে আসতে চাই।”
বিলে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জন করতে স্থানীয় জেলেদের নৌকাই যাতায়াতের ব্যবস্থা। পুরো পদ্মবিল ঘুরে দেখতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগবে। একঘণ্টা ঘুরতে খরচ হবে ২০০ টাকা। আর পুরো ঘুরলে ৪০০-৫০০ টাকার বেশি।
গ্রামের মাঝি বিপ্লব বাওলায়ী বলেন, “এই পদ্মফুল দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে। দিনে চার-পাঁচ বার করে একেকজন মাঝি নৌকায় লোকজন নিয়ে বিলে যায়। বেশ ভাল আয় হচ্ছে। রাতে বিলে মাছ ধরি, আর দিনভর লোকজন নিয়ে বিলে যাই।”
স্থানীয়রা জানায়, বিলের মধ্যে কয়েকটি মাছের ঘেরে এই পদ্মপুল ফুটতো। ঘের পরিষ্কার করে ফুলগুলো পানিতে ফেলে দেয় তারা। ঘের থেকে অবমুক্ত হয়ে এ বছরই এত বিস্তৃত এলাকায় পদ্মফুল ফুটেছে। তারপর চলতি বছর আগাম বৃষ্টি হওয়ায় ইছামতি বিল জুড়ে পদ্মের এই বিপুল সমাহার হয়েছে।
স্থানীয় নলদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ পাখি বলেন, “আমাদের জন্য এই পদ্মফুল আশির্বাদ হয়ে উঠেছে। এখানে বিভিন্ন জেলার মানুষেরা ঘুরতে আসছেন। আমরা চাইবো এই পদ্মবিল যেন নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করতে।”
মতামত দিন