চার সপ্তাহের মধ্যে মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় একটি স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন গঠনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে এ বিষয়ে রিট আবেদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে
পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ আসলে তা তদন্ত করার জন্য একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবিতে সরকারের তিন সচিবসহ চারজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ গ্রহীতারা হলেন- আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার শাখার সচিব, একই মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
নোটিশ পাওয়ার পর চার সপ্তাহের মধ্যে মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় একটি স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন গঠনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে এ বিষয়ে রিট আবেদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন - যৌন হয়রানির অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবলেকে তরুণীদের জুতাপেটা
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের ৫৩ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে কমিশন গঠনের পক্ষে ৫৩ আইনজীবীদের একজন আসাদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, “পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপকর্মে জড়ানোর অভিযোগ বরাবরই রয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশের থানা ও ইউনিটগুলোতে কঠোর নজরদারি সত্ত্বেও পুলিশের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। আবার এটাও ঠিক যে কোনো কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত হচ্ছে। বদলি, প্রত্যাহার বা সাময়িক বরখাস্তের মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে কিন্তু পুলিশের অপরাধ বন্ধ হচ্ছে না।”
আরও পড়ুন - ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার ৩ পুলিশ
তিনি বলেন, “এর কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলেই সেটি তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার ওপর বর্তায়। তখন সেই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ জন্য কমিশন গঠন করতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি।”
নোটিশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে স্বাধীন কর্তৃপক্ষ ও সংস্থার মাধ্যমে পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্তের ব্যবস্থা রয়েছে। নোটিশে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে।
নোটিশের শেষাংশে বলা হয়েছে, দেশি-বিদেশি আইনি কাঠামো ও উচ্চ আদালতের নজিরসমূহ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত অসদাচরণ ও অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে স্বাধীন ব্যবস্থাপনা একান্ত জরুরি।
আরও পড়ুন - ভারতে তথ্য পাচার: অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা আরও ৫ দিনের রিমান্ডে
আরও পড়ুন - 'বকশিশ' না দেয়ায় পিকআপভর্তি ডিম নষ্ট, ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
মতামত দিন