ভবিষ্যতে ভোক্তাদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ
হাতেনাতে মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণকার পট্টিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্রতারণা উন্মোচন করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ক্রেতা সেজে স্বর্ণকারপট্টির পাল জুয়েলার্স, প্রিয়াংকা জুয়েলার্স, রাজধানী জুয়েলার্স ও আহম্মদ জুয়েলার্সে যান তিনি। এ সময় কয়েকটি ২২ ক্যারেট ও ২১ ক্যারেটের আংটি দরদাম করতে গিয়ে সঠিক পরিমাপ আছে কিনা জানতে চাইলে ওই চারটি দোকান স্বর্ণের গুনমান ও সঠিক ক্যারেটের ব্যাপারে শতভাগ গ্যারান্টি দেয়।
পরে পরিচয় দিয়ে ওই আংটিগুলোতে সঠিক ক্যারেটের স্বর্ণ আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য স্থানীয় পরিমাপ প্রতিষ্ঠান হলমার্কে পাঠান।
পরিমাপ প্রতিষ্ঠান জানায়, ২২ ক্যারেটের সোনার আংটির গুণগত মান সঠিক থাকলেও ২১ ক্যারেটের সবগুলো আংটিতে ১৯ ক্যারেট সোনা ছিলো।
মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করার দায়ে অভিযানে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৪ ও ৪৫ ধারা অনুযায়ী নিউ প্রিয়াংকা জুয়েলার্সকে ৭৫ হাজার টাকা, পাল জুয়েলার্সকে ৬০ হাজার টাকা, রাজধানী জুয়েলার্সকে ২০ হাজার টাকা ও আহম্মেদ জুয়েলার্সকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌসের নির্দেশনায় অভিযানটি পরিচালিত হয়।
ভবিষ্যতে ভোক্তাদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ।
মতামত দিন