পড়া না পারায় শিশু শিক্ষার্থী তৌফিকুলকে গাছের ডাল দিয়ে বেদম প্রহার করেন মাদ্রাসা শিক্ষক হযরত আলী
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বেদম প্রহারে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। পরে আহতবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (১৬ আগস্ট) উপজেলার ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ইসলামী কিন্ডার গার্টেনে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন পারভীন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান (১২) ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ইসলামী কিন্ডার গার্টেনের হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি পৌর এলাকার পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামে।
আহত শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান জানায়, পড়া না পারলে প্রায়ই গাছের ডাল দিয়ে মারধর করে থাকেন শিক্ষক হযরত আলী। পড়া না প্রায় রবিবার তৌফিকুলকেও একই কায়দায় বেদম প্রহার করে আহত করেন তিনি। পরে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হযরত আলী বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে ওই শিক্ষার্থী কোন পড়া দিতে পারেনি। বারবার বোঝানোর পরও সে পড়া দিতে পারেনি। পরে রাগান্বিত হয়ে তাকে বেত দিয়ে মারধর করা হয়েছে। মারপিট একটু বেশি হয়ে গেছে। এতে আমি খুবই মর্মাহত। পরে তার অভিভাবকরা এসে শিক্ষার্থীকে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে শুনেছি।”
ওই মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুছ সোবহান বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। তবে কি কারণে শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে সেটা জানতে পারিনি। বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে গিয়েছিলাম।”
ভূঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নিশাত সাইয়ীদা বলেন, “অতিরিক্ত মারধরের কারণে ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়ে গেছে। জখম হয়ে যাওয়া স্থানগুলো ফুলে উঠেছে। ওই শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।”
এ ব্যাপারে ইউএনও নাসরীন পারভীন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমি ঘটনাটি শুনেছি। শিক্ষকসহ ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মতামত দিন