মেঘনার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
মেঘনা নদীর পানি বেড়ে ভোলার সদর, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরায় নিম্নাঞ্চল ৩-৪ ফিট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ। দ্বীপ উপজেলা মনপুরার বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর ও চরনিজামে ৪-৫ ফিট প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (৫ আগস্ট) মেঘনার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এদিন সকাল থেকে ভোলার উপকূল জুড়ে থেমে থেমে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির জানান, তার ইউনিয়নের কোড়ার হাট এলাকা দিয়ে পাউবোর বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বাঁধের ওপর মাটিভর্তি বস্তা ফেলে পানির আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
মনপুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেলিনা চৌধুরী জানান, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, সোনারচর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে লঞ্চঘাট এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ডুবে গেছে উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমনগর এলাকা। মনপুরা ইউনিয়নের নতুন বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ।
এ বিষয়ে পাউবো'র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান বলেন, মেঘনার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এত নিম্নাঞ্চলসহ মূল ভূ-খণ্ডের অনেক জায়গায় ৩-৪ ফিট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
চরফ্যাশনের কুকরি মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন জানান, জোয়ারের পানিতে তার ইউনিয়নের কমপক্ষে চার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
মতামত দিন