স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (১ আগস্ট) রাতে নিহত আল-মামুনসহ চারজনের একটি দল গরু ও ফেনসিডিল আনতে ভারতে গিয়েছিলো
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তের নাগর নদীতে ভারত থেকে ভেসে আসা বাংলাদেশি যুবক আল-মামুনের (২২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আকালু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (৩ আগস্ট) রত্নাই সীমান্তের মরাধর গ্রামের পশ্চিমে ৩৮২(৩)এস পিলার এলাকায় নাগর নদীতে ওই ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। নিহত আল-মামুন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের ঠকবস্তি পশ্চিম হরিনমারি এলাকার সাদেক আলীর ছেলে ও ইউপি সদস্য শামসুল আলমের নাতি।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে আল-মামুনসহ চারজনের একটি দল গরু ও ফেনসিডিল আনতে ভারতে যায়। রবিবার গভীর রাতে ফেরার সময় বাংলাদেশের রত্নাই ও ভারতের সোনামতি সীমান্তে ৩৮২(৪) এস পিলারের দক্ষিণ শেষপ্রান্তে ভারতীয় আয়রন ব্রিজের নিচে এলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের ওপর পাথর ছুঁড়ে মারে। এসময় পাথরের আঘাতে আল-মামুন নিহত এবং ঠকবস্তি পশ্চিম হরিনমারী এলাকার মোহাম্মদ আলী ওরফে বম (২৮) ও আরও একজন আহত হয়।
পরে আহতরা পালিয়ে আসলেও, নিহত আল-মামুনের লাশ সোমবার সকালে সীমান্তের নাগর নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ৫০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল শহিদুল ইসলাম জানান, “রত্নাই সীমান্তের মরাধর গ্রামের পশ্চিমে ৩৮২(৩)এস পিলার এলাকায় নাগর নদীতে ওই ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখার বিষয়টি শুনেছি। বিজিবি সদস্যরা সেখানে আছে। বিস্তারিত জানবার জন্য বিএসএফ’র সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।”
মতামত দিন