‘বেশি বৃষ্টিতে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা আগের চেয়ে কমে এসেছে এবং এর পূর্ণ নিরসনে ওয়াসা গত বছর থেকে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যার সমাপ্তিতে এই সমস্যা থাকবে না’
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা আগের চেয়ে কমে এসেছে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) গত কদিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বেশি বৃষ্টিতে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা আগের চেয়ে কমে এসেছে এবং এর পূর্ণ নিরসনে ওয়াসা গত বছর থেকে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যার সমাপ্তিতে এই সমস্যা থাকবে না।”
সরকারের বন্যা মোকাবিলার বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বন্যা-দুর্যোগ মোকাবেলায় নিজেরা কি করেছেন, সেই চেহারাটা ভালোভাবে আয়নায় দেখুন। শুধু সিদ্ধান্তের অভাবে তাদের আমলে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ প্রাণ ও বিপুল সম্পদহানিসহ বিমান বাহিনীর এক ডজনেরও বেশি বিমান চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে না সরানোর কারণে ধ্বংস হয়েছে।”
ড. হাছান বলেন, “১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষের মৃত্যুর পরও সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া নির্লজ্জের মতো বলেছিলেন- যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা, তত মারা যায়নি। পরিবার ও নেত্রী গুরুজনদের শ্রদ্ধা করতে শিখিয়েছেন, সেকারণে লজ্জায় বলতে না চাইলেও এটা সত্যি যে, লাশের গন্ধ বাতাসে ভাসা সেই সময়ে একজন বিদেশি অতিথির আগমণে একদিনে বেগম জিয়ার সাতবার শাড়ি বদলের ঘটনা জনগণ ভোলেনি।”
অপরদিকে ১৯৯৮ সালের বন্যা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৯৮ এর বন্যায় দেশের প্রায় শতকরা পঁচাত্তর ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল, বিবিসি ও অন্যান্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম লাখ লাখ মানুষের অনাহারে মৃত্যুর আশংকা প্রকাশ করেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা তখন প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছিলেন। সব শংকা-আশংকা ভুল প্রমাণ করে তিনি অত্যন্ত সফলভাবে সেই বন্যা মোকাবিলা করেছেন এবং অনাহারে কেউ মারা যায়নি।”
মতামত দিন