ঘটনাটি স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে
নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের (করোনাভাইরাস চিকিৎসায় বিশেষায়িত) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ঢুকে কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার ( ৮ জুলাই) রাতে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসককে মারধর করেন বলে জানা গেছে।
হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. সামসুদ্দোহা সঞ্চয় ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার পর হাসপাতালের সবাই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া না হলে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা সেবা দিতে অপারগতার কথা জানিয়েছেন।
ডা.সামসুদ্দোহা বলেন, ‘‘৮ জুলাই বিকেল ৪ টা ১৮ মিনিটের দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে আছমা বেগম (৫৫) নামে এক রোগীকে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া, ইসিজিসহ অন্যান্য সেবাও দেওয়া হয়। বিকেলে পৌঁনে ৫টা ১০ মিনিটে টায় তিনি মারা যান।”
“তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আইসিইউতে কর্তব্যরত ডাক্তার মিন্টু প্রধানের পিপিই ছিড়ে ফেলে মারধর করেন রোগীর স্বজনরা।”
সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ হাসপাতালের সামনে যায়। তারা হাসপাতালে না ঢুকে রোগীর স্বজনদের বের করে আনার জন্য বলেন।
ডা. সামসুদ্দোহা বলেন, “তখনও রোগীর লোকজন ডাক্তারকে মারধর করছিল। পরে পুলিশ ভেতরে ঢুকে রোগীর স্বজনদের বের করে নিয়ে আসে। অভিযুক্তরা পুলিশকে বললো, তাদের রোগী মারা গেছে, তাই আবেগতাড়িত হয়ে তারা ডাক্তারকে মেরেছেন। এ কথা শুনে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে।”
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায় জানান, ঘটনাটি স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ডাক্তার, নার্সসহ স্টাফরা আতঙ্কিত।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা কোনো লিখিত অভিযোগ জমা দেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মতামত দিন