এ ঘটনায় ওই যুবলীগ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে
ঢাকার আশুলিয়ায় একটি বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হন গত ৪ জুলাই। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের সবাই একে একে মারা যান। গ্যাস সংযোগটি স্থানীয় যুবলীগ নেতা কুসুম মোল্লার মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা কুসুম মোল্লা ও তার ভাই হুমায়ুন মোল্লা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য জাকির এবং বাড়িটির মালিক ও কেয়ারটেকারসহ ৭ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতদের স্বজন আজিজুল ইসলাম জানান, গত ৪ জুলাই ভোরে আশুলিয়ার দূর্গাপুর পূর্বচালা এলাকায় মো. সামছুদ্দিনের।মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষে গ্যাস সংযোগে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ হন ওই কক্ষের ভাড়াটিয়া আবুল কাশেম, তার স্ত্রী ফাতেমা ও ছয় বছরের শিশু সন্তান আল-আমিন। আবুল কাশেম পেশায় পোশাক শ্রমিক ছিলেন।
পরদিন ৫ জুলাই রাতে সাভারের এনাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু আল-আমিন ও পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়। আর সবশেষে গত ৭ জুলাই রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফাতেমাও।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা কুসুম মোল্লা বুধবার দাবি করেন, তিনি ওই গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত নন। বিস্ফোরণের ঘটনায় তার কোনো দায় নেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে নিহত আবুল কাশেমের মামা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। সেখানে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
মতামত দিন