তবে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫০টি ট্রলারে করে সেখানকার মানুষকে চরফ্যাশনের মূল ভূখণ্ডে নেওয়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকেই ভোলার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কোথায়ও হালকা কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। ভোলা সংলগ্ন মেঘনা তেতুলিয়ায় অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জেলার বিচ্ছিন্ন ২১ চরের মানুষ ও গবাদিপশু নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ভোলায় ৭নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১০৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই উপকূলীয় এলাকায় সতকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে সিপিপি সদস্যরা।
উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নৌ বাহিনী, নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ ও কোস্টগার্ড এ সকল মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে সহায়তা করা হচ্ছে। একই সাথে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫০টি ট্রলারে করে সেখানকার মানুষকে চরফ্যাশনের মূল ভূখণ্ডে নেওয়া হয়েছে।
চরফ্যাশনের ঢালচরের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান মঙ্গলবার বিকাল ৪টার মধ্যে প্রায় চার হাজার লোককে চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা আশ্রয় কেন্দ্র সমূহে নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্টদের ও নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে প্রায় আট হাজার মানুষের বাস। তারা সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক দফতরের ঘূর্ণিঝড় আম্ফান নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আকিব ওসমান জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, মনপুরার বিভিন্ন চরের লোকজনদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে সাবাইকে সতর্ক করার পাশাপাশি নিরাপদে আসতে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের ১০ হাজার ২০০ সেচ্ছাসেবী কাজ করেছে। এছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা ছাড়াও নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও শিশু খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”
মতামত দিন