ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘মামলাটি চাঞ্চল্যকর কিছু না হলে এই করোনার মধ্যে তাকে আটকের জন্য ঢাকা থেকে ভোলায় পুলিশের আসার কথা নয়’
‘জালিয়াতির অভিযোগে’ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে আটক করেছে পুলিশ। ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় বুধবার (০৬ মে) রাতে ভোলার গাজীপুর রোডের বাড়ি থেকে তরিকুল ইসলাম মুমিনকে আটক করে রাজধানীর তেজগাঁও থানা পুলিশ। পরে সড়কপথে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে আটকের কথা স্বীকার না করা হলেও শুক্রবার (০৮ মে) ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার কোতয়ালি থানার একটি চাঞ্চল্যকর জালিয়াতির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আটক করেছে পুলিশ। ঢাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রকল্পের কাজের তদবির করার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তরিকুল ইসলাম। এ ছাড়াও সরকারের বিশেষ কোনো ব্যক্তির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুমিনসহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে। সেই চক্রে একজন মন্ত্রীর সহকারী (পিএস) সহায়তা করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব টাকা নিয়ে জন্মস্থান ভোলায় গা ঢাকা দেন মুমিন। তবে এসব অভিযোগের সত্যতা ঢাকা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, “কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায়নি, তবে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে আটকের সহায়তা চাইলে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের মোবাইল টিম তাদের সহায়তা করে। মামলাটি চাঞ্চল্যকর কিছু না হলে এই করোনার মধ্যে তাকে আটকের জন্য ঢাকা থেকে ভোলায় পুলিশের আসার কথা নয়।”
মতামত দিন