কারাকর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রাণভিক্ষা চেয়ে বুধবার রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন আব্দুল মাজেদ। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মাজেদের আবেদন নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনানুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি বরখাস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হোক।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) টেলিফোনে ঢাকা ট্রিবিউন’কে তিনি বলেন, কারাকর্তৃপক্ষ মাজেদের পরিবারের সদস্যদের তারসাথে শেষবারের মত সাক্ষাতের জন্য ডেকে পাঠাবে। সে সময় ফাঁসির তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি এখনও নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ জানি না। কারাকর্তৃপক্ষ বিষয়টি সকলকে অবহিত করবে।”
এর আগে, কারাকর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রাণভিক্ষা চেয়ে বুধবার রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন আব্দুল মাজেদ।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করে জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি আব্দুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মাজেদের মৃত্যুপরোয়ানা কারাকর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছায়। সেসময় পরোয়ানাটি মাজেদকে পড়ে শোনানো হয়।
আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির নাকচ
এর আগে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুর থেকে মাজেদকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ এম জুলফিকার হায়াত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।
বঙ্গবন্ধুর পাঁচ হত্যাকারী সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হয়। আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদ গ্রেফতার
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক ১২ সেনা কর্মকর্তার ফাঁসির রায় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখে।
পলাতক আসামিরা হলেন- সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলে উদ্দিন।
মতামত দিন