শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঘটনাটি ঘটে। করোনাভাইরাসের কারণে ফাঁকা নগরীতে খাবার না পেয়ে প্রায় অনাহারে রয়েছে রাস্তার কুকুরগুলো
রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঢুকে চারটি হরিণ খেয়ে ফেলেছে পাঁচটি ক্ষুধার্ত কুকুর। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভোরের দিকে এই ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে সকালেই হরিণগুলোর দেহের অবশিষ্টাংশ মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, পার্কের ভেতরের বেশকিছু জমি নিয়ে হরিণের শেড করা হয়েছে। এর ভেতর টিন দিয়ে তৈরি দু’টি ঘর রয়েছে। হরিণগুলো সেখানে পানি ও খাবার খায়। ছায়ায় বিশ্রাম করে। বাকি অংশটুকু হরিণের বিচরণের জন্য ফাঁকা পড়ে আছে। চারপাশে আছে লোহা ও কাঁটাতারের বেড়া। সেখান দিয়ে পাঁচটি কুকুর প্রবেশ করে হরিণগুলো খেয়ে ফেলে।
উদ্যান কর্তৃপক্ষের ধারণা, করোনাভাইরাসের কারণে সকল রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় ফাঁকা নগরীতে খাবার না পেয়ে প্রায় অনাহারে রয়েছে রাস্তার কুকুরগুলো। একারণেই ক্ষুধার্ত অবস্থায় আর কোনও উপায় না পেয়ে হরিণগুলোকে খেয়ে ফেলে ওই পাঁচ কুকুর।
এসম্পর্কে সুপারভাইজার শরিফুল ইসলাম জানান, চিড়িয়াখানায় গত তিনমাসে হরিণের ১৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। তবে কুকুরের দল ঢোকার সময় শেডে মোট হরিণ ছিল ৭৫টি। কুকুরে খাওয়ার পর এখন হরিণের সংখ্যা ৭১টি। কুকুরের পেটে যাওয়া চার হরিণের তিনটিই বাচ্চা। একটি তাদের মা। হরিণগুলোর দেহের অবশিষ্টাংশ শেডের ভেতরেই মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
মতামত দিন