গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হলেও বৃহস্পতিবার তা জানাজানি হয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) র্যাগিংয়ের দায়ে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৪৭তম ব্যাচের) ১১ জন শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার এবং প্রথম বর্ষের (৪৮তম ব্যাচের) দুই শিক্ষার্থীকে সতর্কীকরণের নোটিশ প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে পাওয়া বিবৃতিতে জানা যায়, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের র্যাগিংয়ের ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষে থেকে প্রণীত শৃঙ্খলা বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় এসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের হারুন অর রশিদ, এনামুল হক তামিম, মো. রাইসুল ইসলাম রাজু, তাওসিফ আব্দুল্লাহ, সালগ্না রেমা, জাকির হোসেন জীবন, মুহাম্মদ মাহাবুবুল আলম, মো. মাহবুবুল আলম, সারাহ বিনতে সালাহ, সায়মা লিমা, ফাবিহা বিনতে হক।
এছাড়া র্যাগিংয়ের শিকার হওয়া সত্ত্বেও সিনিয়রদের রক্ষার করার চেষ্টা করায় প্রথম বর্ষের মো. নাঈম হাসান ও আল ইমরান হোসেন তালুকদারকে জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে ‘সবেধন নীলমণি’ সভাপতি দিয়ে চলছে জাবি ছাত্রলীগ
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ এপ্রিল (সোমবার) রাত ৮টায় বিভাগটির দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নিয়ে নানাভাবে হেনস্তা করে বলে অভিযোগ করে।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ১৫ এপ্রিল সোমবার বিভাগের আয়োজনে জেএমএস প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খেলা ছিল। খেলা দেখার জন্য প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীকে মাঠে যেতে বলেছিল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। প্রথম বর্ষের সব শিক্ষার্থী খেলা দেখতে না যাওয়ায় তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। রাত ৮টায় তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ডেকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা ও মুরগি বানানো (হাত পা মুড়ে বসিয়ে একধরনের শাস্তি) হয়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজুল হাসান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। এটা পুরোপুরি সিন্ডিকেটের সিন্ধান্ত। আমি তদন্ত কমিটির কোনো প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলাম না।”
আরও পড়ুন - প্রজাপ্রতির ডানায় ভর করে রঙ মেখেছিল জাবি
মতামত দিন