পরিবেশ দূষণকারী পাঁচটি ইটভাটাকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে ইট উৎপাদনসহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জে পরিবেশ দূষণ ও ছাড়পত্র না থাকায় পাঁচটি ইটভাটাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে তিনটি ইটভাটার চুল্লি ভেঙ্গে দিয়ে উৎপাদন বন্ধসহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকসুদুল ইসলামের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের ক্রোকেরচর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা উপ-পরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার, র্যাব-১১ এর সহকারি পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও ফতুল্লা থানার পরিদর্শক আজহার হোসেনসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে এই, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশ নেন।
মাকসুদুল ইসলাম জানান, দেশে বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে শতকরা ৫৮ শতাংশই ইটভাটাগুলো দায়ী। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও সনাতন পদ্ধতিতে পরিচালিত হওয়া বিপুল সংখ্যক ইটাভাটা এখন পর্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তিতে রূপান্তর না করায় অর্থদণ্ড করাসহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এরই ধারবাহিকতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা মেনে না চলায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ সংশোধিত আইন অনুযায়ী পরিবেশ দূষণকারী পাঁচটি ইটভাটাকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রবিহীন পরিচালিত তিনটি ইটভাটার চুল্লি ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর কর্মীরা নিভিয়ে দেয়। পরে ভেকু দিয়ে এই তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে ইট উৎপাদনসহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন - নারায়ণগঞ্জে ইটভাটায় বিপর্যস্ত পরিবেশ, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের মনিটরিং টিম এসব ইটভাটাগুলোকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখবে। দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ইটভাটা আইন অমান্য করে পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া পুরো শুষ্ক মৌসুম ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যহত থাকবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা উপ-পরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার বলেন, “এ পাঁচটি ইটভাটা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে কোনো ইটভাটাই অবৈধভাবে চলতে দেওয়া হবে না। পর্যাক্রমে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
মতামত দিন