শীতকাল হওয়ায় অনশনে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে
পাটকল শ্রমিকদের আমরণ টানা অনশনের চতুর্থ দিনে উত্তাল হয়ে উঠেছে খুলনার শিল্পাঞ্চল এলাকা। এরইমধ্যে অনশনে মারা যাওয়া শ্রমিক আব্দুস সাত্তারের জানাজা শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্লাটিনাম জুট মিল গেটে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদর যুগ্ম আহবায়ক মো. মুরাদ হোসেন, হুমায়ুন কবির, সোহরাব হোসেন, শ্রমিক নেতা কাওসার আলী মৃধা, মো. খলিলুর রহমান, সেলিম আকনসহ শ্রমিক নেতারা।
উল্লেখ্য, টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা যান প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক আব্দুস সাত্তার (৫৫)।
স্টার জুট মিল নন সিবিএ ভাইস প্রেসিডেন্ট বাচ্চু ব্যাপারী জানান, তার কারখানার ২৬ শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি। আর প্যান্ডেলে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে আরও শতাধিক শ্রমিককে।
প্লাটিনাম জুট মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, তার মিলের ৮০ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা না খেয়ে রাজপথে আন্দোলন করছি। আর প্রশাসন আমাদের নিয়ে তামাশা করছে। দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- খুলনায় আমরণ অনশনে পাটকল শ্রমিকের মৃত্যু
এদিকে, আমরণ অনশনের চতুর্থ দিনে শুক্রবার আরও দুই শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে ৪০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুলনা মেডিকল কলজ হাসপাতালে রয়েছেন ১৫ জন।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদর যুগ্ম আহায়ক খলিলুর রহমান বলেন, শীতকাল হওয়ায় অনশনে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে।
দাবি আদায় না হওয়া এবং অনশনে শ্রমিক মারা যাওয়ার ঘটনায় অনশনরত শ্রমিকদের ক্ষোভ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভম্বর ১১ দফা দাবিতে ৬ দিনর কর্মসূচির ডাক দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ। গত ২৫ নভেম্বর থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। আর ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আমরণ অনশন।
মতামত দিন