অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার সন্ধ্যায় ওই মাদ্রাসাছাত্রকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়
বরিশালে মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্র মো. মাহফুজ (১৩) বকশির চর দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান।
ওই মাদ্রাসাছাত্রের পরিবারের সদস্যরা জানান, ৬০০ টাকায় একটি মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে বন্ধুদের সাথে বাগবিতণ্ডা হয় মাহফুজের। পরে শনিবার সন্ধ্যায় একটি মুদি দোকানের সামনে থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যায় বন্ধু বাপ্পি। বাপ্পির সাথে গিয়ে সে দেখে বন্ধু তামিম সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছে। সেখানে মাহফুজের সাথে তার বন্ধুদের মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় বাপ্পি ও তামিম।
পরে মাহফুজের আর্তচিৎকার শুনতে পেয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করেন স্থানীয়রা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে শেবাচিম-এর চিকিৎসক ড. এম এ আজাদ বলেন, "আগুনে ওই মাদ্রাসাছাত্রের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এমনকি তার শ্বাসনালীও দগ্ধ হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।"
বিএমপি'র কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান জানান, "ঘটনার কথা শুনে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জাহিদ বিন আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।"
মতামত দিন