বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভার সভাপতিত্বকালে এই ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে “মুজিববর্ষ” উদযাপন করবে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভার সভাপতিত্বকালে একথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, গত ২৫ নভেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে সংস্থার ৪০ তম সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে “মুজিববর্র্ষ” উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো মহাসচিব অড্রে অজুলে ও সাধারণ পরিষদের সভাপতি আল্টে সেনজিজার সহ বিভিন্ন কমিটি এবং কমিশনের চেয়ারপার্সনরা পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় জানানো হয়, বছরব্যাপী অনুষ্ঠেয় “মুজিব বর্ষ”র জাতীয় অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন হবে আগামী ১৭ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে।
সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্ক যুক্ত হতে হবে। বঙ্গবন্ধু এই মাটির সন্তান, কাজেই এটা (অনুষ্ঠান) কোন রংচটা অনুষ্ঠানে রূপ নিতে পারবে না।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “কাজেই আমি মনে করি যে, অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে, কোনও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির দ্বারা হবে না। তবে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারে।”
সভার শুরুতে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম শতার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার সাহায্যে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৭ মার্চ বিকেল ৪টায় জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে।
কামাল নাসের বলেন, অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ফ্লাইপাস্ট, একশ’ শিল্পীর অংশগ্রহণে যন্ত্রসঙ্গীত, বাংলা এবং ইংরেজিতে থিম সং পরিবেশন, ৫৫ মিনিটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো।
তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানার হাতে “শ্রদ্ধা স্মারক” তুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন।
মতামত দিন