বুধবার রাত ৮টায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও অফিস বা আবাসিক এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’’ ব্যানারে আন্দোলনরত শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য এর বাসভবনের সামনের সড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। পরে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত ৮টায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও অফিস বা আবাসিক এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্তানুযায়ী ৬ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল ত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের দোকানপাটও বন্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করেন, এই সময়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কোনো শিক্ষার্থীর অবস্থান সমীচীন নয়।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই নির্দেশনা অমান্য করে সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রতিবাদী কনসার্টের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরতরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আ.স.ম. ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। এখন কেউ যদি পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করে তবে তা শৃঙ্খলাবিরোধী বলে বিবেচিত হবে।”
পরিস্থিতির অবনতি হলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর।
মতামত দিন