‘সাড়ে ছয় মাস ধরে আমরা পরিবারে সদস্যরা কাঁদছি। র্নিঘুম দিন কেটেছে আমাদের। তবে ওই কান্না আর আজকের কান্নার মধ্যে তফাৎ আছে। এই কয়টা মাস এ দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম’
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নুসরাতের বাবা একেএম মুসা ও বড় ভাই নোমান। রায় শুনে এজলাস কক্ষেই কেঁদে ফেলেন তারা। পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দু’জনেই ঢাকা ট্রিবিউনের কাছে সন্তুষ্ট হওয়ার কথা জানান।
তিনি বলেন, “সাড়ে ছয় মাস ধরে আমরা পরিবারে সদস্যরা কাঁদছি। র্নিঘুম দিন কেটেছে আমাদের। তবে ওই কান্না আর আজকের কান্নার মধ্যে তফাৎ আছে। এই কয়টা মাস এ দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম। নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছি। আজ সব আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। এ রায়ে নুসরাতের আত্মা আজ শান্তি পাবে।”
এ সময় মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিশেষ ধন্যবাদ জানান নুসরাতের বাবা একেএম মুসা।
তবে রায়ের পর নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে নুসরাতের বাবা বলেন, “সব আাসামির ফাঁসির রায় হওয়ায় তাদের অনুসারীরা এখন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যে কোনো ধরণের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
আরো পড়ুন - রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে আসামিরা
এদিকে ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী ও নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, “বিলম্ব হলেও সুবিচার পেয়েছি এতে সন্তুষ্ট। তবে রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছি না।”
মাহমুদুল হাসান নোমান ও তার ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান কাঙ্ক্ষিত রায় পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এর আগে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বিচারক যখন রায় পড়া শুরু করেন, তারও বেশ কিছু সময় পিতাপুত্র (একেএম মুসা ও মাহমুদুল হাসান নোমান) এজলাশে প্রবেশ করেন। পরে বিচারকের রায় শুনে দু’জনেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
মতামত দিন