সড়কগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় সময়মতো শিক্ষার্থী ও চাকুরিজীবিসহ লোকজন তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। জরুরি রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে যেতে হলে বিপাকে পড়তে হয় অনেককেই। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেহাল সড়কগুলো দিয়ে যানবাহনে করে যাতায়াত করতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
সিলেটের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর জনবহুল সড়কসহ উপজেলার ১৬টি সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এতে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। অনেক সড়কে পুকুরের মতো গর্ত হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে এসকল বেহাল সড়ক দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। ওই ১৬টি সড়কের অনেকটির সাথে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিষ্ঠানের সংযোগ রয়েছে। কিন্তু তারপরও কর্তৃপক্ষ যেন নির্বাক।
সড়কগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় সময়মতো শিক্ষার্থী ও চাকুরিজীবিসহ লোকজন তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। জরুরি রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে যেতে হলে বিপাকে পড়তে হয় অনেককেই। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেহাল সড়কগুলো দিয়ে যানবাহনে করে যাতায়াত করতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
তবে এসকল ভাঙ্গা সড়কগুলো সংস্কারের জন্য নতুন এমপি ও গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খানের কাছে জনসাধারণ অনেক প্রত্যাশা করছেন। অতীত যাই হোক তাদের মতে বর্তমান এমপি এসকল সড়কগুলো সংস্কার করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্বনাথ বাইপাস ও বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর জনবহুল সড়কের মিয়ার বাজার সীমানা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে পুকুরের মতো গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়াও আরও ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- কালিগঞ্জ-মনাইকান্দি সড়ক, কালিগঞ্জ-দাউদপুর-সমসপুর স্কুল সড়ক, কালিগঞ্জ-বরইগাঁও-সদুরগাঁও পূর্বের সড়ক, বিশ্বনাথ-হাবড়া-ছালিয়া সড়ক, বিশ্বনাথ জানাইয়া-খাজাঞ্চি সড়ক, বিশ্বনাথ-কুরুয়াবাজার-সুরুয়ালা সড়ক, রামপাশা-রাজাগঞ্জবাজার সড়ক, গুলচন্দবাজার-ভুরকি-মুঞ্চিরবাজার-বাংলাবাজার-সিঙ্গেরকাছ সংযোগ সড়ক, রামপাশা-বৈরাগী-সিঙ্গেরকাছ সড়ক, দশপাইকা-হাবড়া-বাগিচা সড়ক, দৌলতপুর পূর্বের সড়ক, দশঘর-মাছুখালি সড়ক, বাগিচা-কজাকাবাদ ইউপি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়ক ও পীরেরবাজার কালভার্ড থেকে ধরারাই-গাজির মোকাম সড়ক।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ ভূইয়া বলেন, “পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কগুলো ভেঙে যাচ্ছে। তারপরও শিগগিরই সড়কগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।”
মতামত দিন