রবিবার টিএসসিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানায় সংস্থাটি
ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রত্যেকের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। রবিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানায় টিআইবি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ভয় বা করুণার উর্ধে উঠে সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের ন্যয়বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি অপরাধের শিকার পরিবারকে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করার আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাংশের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও অপরাধীদের সাথে যোগসাজশের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "যারা নুসরাতকে প্রত্যক্ষভাবে হত্যা করেছে শুধু তারাই এর জন্য দায়ী নয়। এর সাথে পরোক্ষভাবে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাংশ, রাজনৈতিক ও অন্যান্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গসহ আরও অনেকেই জড়িত; যা একধরনের সিন্ডিকেট। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করি যে, যেখানেই এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয় সেখানেই এ ধরনের সিন্ডিকেটের উৎপত্তি হয় এবং সেই সিন্ডিকেটের হাত ধরেই অপরাধের ন্যায় বিচার প্রতিহত হয়। ফলে বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ঘটছে"।
দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাংশ মানসিক বৈকল্যে ভুগছে অভিযোগ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, "তাদের অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্থ, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবান্বিত এবং ব্যাপকভাবে অনিয়মের সাথে জড়িত; তারা অপরাধীর পাশে দাঁড়ায়, অপরাধীকে সুরক্ষা দেয় আর যারা অপরাধের শিকার তাদের শুধু অধিকারই হরণ হয় না, নিরাপত্তাহীনতার শিকার হতে হয়। এভাবে একটা স্বাধীন দেশ চলতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই, প্রতিবাদ জানাই"।
এসময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র উপদেষ্টা- নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহামম্মদ রফিকুল হাসান, সিভিক এনগেইজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ফারহানা ফেরদৌস, অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক আব্দুল আহাদ, এফসিএমএ এবং আউটরিচ ও কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম। এছাড়াও টিআইবি’র সদস্য, টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ইয়ুথ এনগেজমেন্ট এন্ড সাপোর্ট (ইয়েস) গ্রুপের সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ, টিআইবি কর্মী ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মতামত দিন