আহতাবস্থায় ওই সাংবাদিককে হাতিবান্ধা উপজেলা হাসপাতাল থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিলের ছবি তুলতে গেলে দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার লালমনিরহাট প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সাজুকে মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে হাতীবান্ধা উপজেলা আমতলা এলাকার এফএফ হাইস্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মারধরের শিকার সাংবাদিক সাজু জানান, একপক্ষের মিছিলে থাকা সিরাজুল ইসলাম, সদরুল আমিন রিপন, রিপনের ভাই খোকনসহ কয়েকজন আসাদুজ্জামান সাজুর ওপর হঠাৎ এই হামলা চালায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গেলে দৈনিক আমাদের সময়ের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি নুরনবী সরকার ও পথচারী শরীফ মোল্লার ওপরও চড়াও হয় হামলাকারীরা।
আহতাবস্থায় সাংবাদি সাজুকে হাতিবান্ধা উপজেলা হাসপাতাল থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মারধরে কোমরে ব্যাথা পেয়েছেন বলে ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান সাজু।
হামলায় আহত সাজুকে স্থানান্তর করা হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ছবি: ঢাকা ট্রিবিউনউল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের সামনেই লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও সরওয়ার হায়াত খান গ্রুপের লোকজনের মাঝে বাক-বিতণ্ডা হয়।
পরে পুলিশি নিরাপত্তায় দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন মোতাহার।
ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর নেতা-কর্মীরা সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে মহড়া এবং লাঠিসোটা নিয়ে শহরে মিছিল করেন। জবাবে সরওয়ার খানের সমর্থকরাও মহড়া ও মিছিল করার চেষ্টা করে।
বিবাদমান পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি মিছিলের ছবি তুলতে গেলে মারধর করা হয় সাংবাদিক সাজুকে।
এ বিষয়ে হাতিবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতামত দিন