চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের কয়েকজনকে ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছেন তাদের স্বজনরা
রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৭ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর পুরান ঢাকার নন্দ কুমার লেনের চুরিহাট্টার কয়েকটি ভবনে সংঘটিত ওই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস।
তবে বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আহতদের দেখতে গিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬৭ জন মারা গেছেন।
আইজিপি বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৬৭টি লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আর কোনও মরদেহ না পাওয়া এই অগ্নিকাণ্ডে গেলে মৃতের সংখ্যা ৬৭।”
তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে তিন জনকে রাখা হয়েছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-তে।
উল্লেখ্য, চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের কয়েকজনকে ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছেন তাদের স্বজনরা। কিন্তু কয়েকটি লাশ মারাত্মকভাবে পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
মারাত্মকভাবে পুড়ে যাওয়া মরদেহগুলো ডিএনএ টেস্টের পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান আইজিপি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে পুলিশ প্রধান জানান এখন পর্যন্ত ৩৭ টি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং এর মধ্যে ১২টি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল কারখানা সরানোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন, বিস্ফোরক অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতরের সহায়তা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আইজিপি জানান, “এ বিষয়ে শিগগিরই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।”
মতামত দিন