গমের বস্তা নিয়ে পুলিশ ও কারারক্ষীদের মধ্যে টানা-হেঁচড়ার ছবি তুলতে গিয়ে বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভ্যান বোঝাই গমের বস্তা নিয়ে পুলিশ ও কারারক্ষীদের মধ্যে টানা-হেঁচড়ার ছবি তুলতে গিয়ে বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের বরিশাল ব্যুরো’র ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ। শনিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভের মুখে পাঁচ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক শামীম আহম্মেদকে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সাংবাদিক জানান, ‘‘বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি ভ্যানে করে ১১ বস্তা গম বের করার সময় পুলিশ ওই গম আটক করে। এসময় কারারক্ষী ও পুলিশের মধ্যে গমের বস্তা নিয়ে টানাটানি হয়। ওই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে কারারক্ষীরা কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে বসেই আমাকে মারধর শুরু করে। পরে কারা অভ্যন্তরে নিয়ে গিয়ে বুট দিয়ে লাথি ও এলোপাথারি পেটায় তারা। এসময় সামনে জেলার ইউনুস জামান দাড়িয়ে থাকলেও তিনি তার অধীনস্থদের বাধা দেননি।’’
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বিক্ষোভ এবং ডিআইজি প্রিজন তওহিদুল ইসলাম ও সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিকের কাছে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এরপর কারাগারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে হামলা ও মারধরের ঘটনায় জড়িত কারারক্ষী উজ্জল মিয়া, আবুল খায়ের, আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন, কাওছার ও সাঈদ নামে ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এ বিষয়ে ডিআইজি প্রিজন তওহিদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল কোতয়ালী থানার এসআই মাইনুল বলেন, কারাগার থেকে গম পাচারের খবর জানার পর নগরীর বাজার রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি ট্রাক থেকে ২২ বস্তা গম জব্দ ও ট্রাক দুটির চালকদের আটক করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতামত দিন