এই ঘটনায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ গুরুতর আহত হয়েছেন
নোয়াখালীর সেনবাগে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ৩ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর ছেলে সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাবুদ্দিন রাসেল (৩১) এবং উপজেলার শাহ আলম চৌধুরীর ছেলে ফুটন চৌধুরী (৪৫)। আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসা মো. মাসুদুর রহমান জানান, “আবুল কালাম আজাদ এর নাকে ও মুখে ৯টি সেলাই দেয়া হয়েছে এবং তিনি শংকামুক্ত আছেন। তবে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে”।
নোয়াখালী ২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি) আসনের বিএনপি প্রার্থী জয়নুল আবদীন ফারুক জানান, “সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আমি উপজেলা সদরে ফুল দিতে যাই। এসময় সেনবাগ বাজারের কাছে রাস্তার উপরে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের গাড়ী বহরে হামলা চালিয়ে সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সহ তিনজন আহত করেছে। এসময় আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা উপজেলা বিএনপি অফিস ভাংচুর ও নির্বাচনী পোস্টারে অগ্নি সংযোগ করে”।
সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, “সেনবাগ বাজারে ধানের শীষ ও নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কার্যালয়ে বা গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ সত্য নয়”।
মতামত দিন