চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৮,০৩২ জনের একটি তালিকা মিয়ানমারকে পাঠানো হয়েছিল
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আগামী মাস থেকেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো-এর সঙ্গে তৃতীয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো বলেন, “আমাদের দুই পক্ষেরই রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে এবং আমরা দুই পক্ষই দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।” আর পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক জানান, ‘মধ্য নভেম্বর নাগাদ রোহিঙ্গাদের প্রথম ব্যাচকে প্রত্যাবাসন করা হবে বলে আশা করছি।’
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, “প্রত্যাবাসন একটি জটিল প্রক্রিয়া। কিন্তু রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব। আমরা দেখছি, আমাদের দুই পক্ষেরই রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমার দু’জনেই আগামীকাল (বুধবার) কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছি।”
এদিকে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার বিষয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো বলেন, “আমরা রাখাইনে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে সেখানকার পুলিশ এবং জনগণকে সচেতন করা। যাতে করে রোহিঙ্গারা বৈষম্যের শিকার না হয়।”
তবে প্রথম ব্যাচে কতজন রোহিঙ্গা দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন তা জানা যায়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৮,০৩২ জনের একটি তালিকা মিয়ানমারকে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৬০০ জনের তথ্য তারা যাচাইবাছাই করেছে বলে জানা গেছে।
মতামত দিন