আশ্রয় নিতে ভারতে পালিয়ে এসে ২০১২ সালে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হওয়া ৭ রোহিঙ্গাকে তাদের কারাভোগ শেষে গত ৪ অক্টোবর মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে তাদের তুলে দেয় ভারত
বেসরকারি তথ্যসূত্র অনুযায়ী ভারতে ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা থাকলেও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনইচসিআর বলছে দেশটিতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে মাত্র ১৮ হাজার। ফলে নিজ দেশে নিপীড়ণের শিকার মুসলিম এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনিবন্ধিত শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের আশংকা করছে আন্তর্জাতিক মহল।
ভারত থেকে সাত রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করার পর এই তথ্য জানায় ইউএনইচসিআর। তবে, নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা বিচারবর্হিভূত গ্রেফতার, আটক ও প্রত্যাবাসন থেকে রেহাই পাবে।
উল্লেখ্য, আশ্রয় নিতে ভারতে পালিয়ে এসে ২০১২ সালে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হওয়া ৭ রোহিঙ্গাকে তাদের কারাভোগ শেষে গত ৪ অক্টোবর মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে তাদের তুলে দেয় ভারত। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে ফেরত পাঠানো এসব রোহিঙ্গার ভাগ্য নিয়ে শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় ইউএনএইচসিআর।
এপ্রসঙ্গে গত রবিবার জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিক বলেন, "কোন পরিস্থিতির আওতায় এসব ব্যক্তিকে মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তা জানতে চেয়েছি।"
তিনি আরো বলেন, "তাদরে আটক এবং ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানার পর এবং ওই সাতজন রোহিঙ্গা এমন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়ার পর ইউএনএইচিসআর ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে তাদের সেখানে থাকতে দিয়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সুরক্ষার জন্য তাদের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি মূল্যায়ন করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোন সাড়া দেয়নি।"
জানা যায়, ফেরত পাঠানো এইসব রোহিঙ্গাদের ২০১২ সালে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মনিপুর রাজ্য থেকে আটক করা হয়। প্রত্যাবাসনের পূর্বে দীর্ঘদিন আসামের শিলচর কারাগারে তারা কারাভোগ করে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ভারত সফরের পরেই ইউএনএইচসিআরের আপত্তি সত্ত্বেও সাত রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
মতামত দিন