নিহত জাহেদা নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের মেয়ে।
নোয়াখালীতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে লাশ রেখে উধাও হয়ে গেছে স্বামী মোহাম্মদ সোহেল ।বৃহস্পতিবার সকালে দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধুর নাম জাহেদা খাতুন মাম্মি (২০)। সে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের মেয়ে। ২০১৬ সালে একই উপজেলার রাজারামপুর গ্রামেরআবুল হোসেনের ছেলের সাথে জাহেদার বিয়ে হয়।
দাগনভুঞা থানার ওসি ছালেহ আহমেদ পাঠান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে কয়েকজন লোক গৃহবধূ জাহেদাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে স্বামী সোহেল উধাও হয়ে যায় । হাসপাতাল কতৃপক্ষ বিষয়টি জানানোর পরনিহতের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ।গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিহত জাহেদার আত্মীয় ফাতেমা বেগম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, "বুধবার রাতে জাহেদাকেযৌতুকের জন্যস্বামী সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। ২০১৬ সালে জাহেদাকে একই উপজেলার রাজারামপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করতেন"।
দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, "ভোর রাতে কয়েকজন লোক এক গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হলে তারা লাশ রেখে পালিয়ে যায়"।
মতামত দিন