‘প্রাথমিকভাবে, সেখানে ৫০ থেকে ৬০টি রোহিঙ্গা পরিবারকে স্থানান্তর করা হবে।’
আগামী মাস থেকেই এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে প্রত্যন্ত দ্বীপ ভাষান চর-এ স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে। মঙ্গলবার বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন দূ্র্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে অক্টোবরের ৩ তারিখ দিনটি নির্ধারণ করে রেখেছেন। যদিও ইতিমধ্যেই পরিকল্পনাটি বেশ কয়েকবার পিছিয়েছে। প্রথমে কথা ছিল বর্ষাকাল শুরু হওয়ার আগেই জুনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সেখানে স্থানান্তর করার।
এ প্রসঙ্গে এক জৈষ্ঠ্য দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জানান, এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী পূনর্বাসনের জন্য দ্বীপটিতে কাঠামো তৈরির কাজ করছে নৌবাহিনী। মোট প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
হাবিবুল কবির চৌধুরী আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে, সেখানে ৫০ থেকে ৬০টি রোহিঙ্গা পরিবারকে স্থানান্তর করা হবে।”
এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে ঠিক সন্তুষ্ট নয়। কারণ যে দ্বীপটিতে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য তেমন একটা আদর্শ স্থান নয়। তাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে এ পরিকল্পনা বাদ দেওয়ার অনুরোধ পর্যন্ত জানানো হয়েছে।
কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছে। বসবাস উপযোগী করে তুলতে ভাষাণ চরের পেছনে গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ২৮ কোটি ডলার খরচ করেছে সরকার। এক নৌবাহিনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বন্যা প্রতিরোধে সম্পূর্ণ দ্বীপের চারপাশ জুড়ে তিন মিটার উঁচু বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নৌবাহিনী কর্মকতা আরও জানান, “আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী নিতে প্রস্তুত।”
জোরপূর্বক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বীপে পাঠানো হবে না বলেও জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাবিবুল কবির বলেন, “যদি মানবিক সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারি আমরা, তাহলে এই দ্বীপে তাদের না আসার কোনও কারণ নেই। আমরা তাদেরকে রাজি করাবো।”
মতামত দিন