স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নোয়াখালীতে এক কিশোরের মৃত্যুর গুজবে সদর উপজেলার পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের বেদেপল্লীতে তাণ্ডব চালিয়েছে স্থানীয়রা। এ সময় বেদেদের অনেকগুলো বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ ভয়ে বেদেরা পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ৭০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেদেপল্লীর এক কিশোরী স্থানীয় একটি দোকানে আইসক্রিম কিনতে গেলে দোকানি তাকে অশালীন মন্তব্য করে। এনিয়ে বেদেদের সঙ্গে দোকানি ও স্থানীয় লোকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে, তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় তারেক আজিজ (১৭) নামে এক কিশোর দোকানের গরম তেলের কড়াইয়ে পড়ে ঝলসে যায়। সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার দুপুরের দিকে এলাকায় তারেকের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে, তার স্বজন ও এলাকাবাসী বেদেপল্লীতে হামলা চালায়। বিকাল পর্যন্ত চলে এই তাণ্ডব।
বেদে সর্দার মো. ওয়াসিম অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ বছর থেকে শতাধিক বেদে পরিবার পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামে নিজস্ব ভূমিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। বখাটেরা প্রায়ই এখানকার কিশোরীদের উত্ত্যক্ত করে আসছে। আজকের ঘটনায় তাদের ৩২টি টিনের ঘর, ১০টি তাবু ও ২৫টি খুপরি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এছাড়া ১১টি ঘর ও ১১০টি সাপ পুড়ে যায়। হামলায় আহত হয়েছেন ৬ বেদে। ঘটনার পর থেকে শরীফ ও সুমন নামে ২ শিশুর সন্ধান মিলছে না।
এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ টাকা সহায়তা দেন এবং সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মতামত দিন