পুলিশ ও এলাকাবাসী এনেছে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় লিয়াকত হোসেন নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশ তার ছোটভাইয়ের হাতে হাতকড়া পরিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আসামির পরিবারের সদস্যদের সংঘর্ষে হাতকড়া নিয়েই পালিয়ে যান সেকেন্দার হোসেন নামের ওই ব্যক্তি।
আজ রোববার সকালে উপজেলার আমতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে শাহিনুর নামের পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তাকে কালিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে অন্য কথা। পুলিশ জানায়, আমতলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের জান্নাত গ্রুপ ও হান্নান গ্রুপের মধ্যে গত ২৮ আগস্ট সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা করে দুই গ্রুপ।
আজ সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সবুর হোসেন ফোর্স নিয়ে পলাতক আসামি ধরতে এলাকায় যান। এ সময় পুলিশের দুই কনস্টেবল আসামি লিয়াকতের বাড়িতে ঢুকে তাকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরায়। এর জের ধরে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে লিয়াকত পালিয়ে যান।
তবে এলাকাবাসী জানিয়েছে, পুলিশ এজাহারভূক্ত আসামি লিয়াকতকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে যায়। এ সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। লিয়াকত ভেবে পুলিশ সদস্যরা তার ছোট ভাই সেকেন্দারকে গ্রেপ্তার করে। সেকেন্দার আসামি না হওয়ায় পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়। পরে হাতকড়া পরা অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যান সেকেন্দার।
মামলার বাদি আমতলা গ্রামের কিছলু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি লিয়াকতকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয়।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শমশের আলী বলেন, মামলার পলাতক আসামি লিয়াকত হোসেনকে এসআই সবুর হোসেন ও কনস্টেবল শাহীন আটক করলে বাড়ির নারীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। ওই ফাঁকে লিয়াকত পালিয়ে যান। এর এক পর্যায়ে পড়ে গিয়ে কনস্টেবল শাহীন আহত হন।
ওসি শমশের আরও জানান, লিয়াকতকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মতামত দিন